নানিয়ারচর(রাঙ্গামাটি)প্রতিনিধিঃ- রাঙামাটির কল্যাণপুর এলাকায় জগৎ দেওয়ানের ছেলে চন্দন দেওয়ান তার তিন সন্তান এবং স্ত্রী রেখে অন্য নারীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে।
স্ত্রী রাখি দেওয়ান জানায়,তার স্বামী রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জারীকারক পদে চাকুরি করেন। ২০০৬ সালের ১৪ জুলাই তাদের বিবাহ বন্ধন হয় এবং বর্তমানে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এবং তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া দুইটি মেয়ে এবং দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
গেল মে মাসের শুরু হতে স্বামী ঠিকমতো বাসায় না আসলে সন্দেহ জাগে স্ত্রীর এবং জিজ্ঞাসা করলে প্রতি উত্তরে বলে থাকে অফিশিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।বাহিরে রাত্রি যাপন এবং স্বামীর কথাবার্তায় সন্দেহ লাগলে খোঁজখবর নিতে থাকেন তিনি। পরবর্তীতে সন্ধান পান রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের উচিমং মার্মার মেয়ে উর্বি মার্মা রাঙামাটিতে ব্যাচেলর বাসা ভাড়া থাকে এবং তার সঙ্গে তার স্বামীর গোপন সম্পর্ক রয়েছে।এবং এই নিয়ে গেল ৭ জুন রাঙামাটি কল্যাণপুরে কারবারি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ করা হয় এবং সেখানে ওই পরকিয়া মেয়ে উর্বি মার্মা ও তার বাবা সহ তার স্বামীকে নিয়ে সামাজিক বিচারে উর্বি মার্মাকে তার বাবার হাতে হস্তান্তর করে দেয় এবং বিচারে তার স্বামীকে নিজ বাসায় পাঠিয়ে দিলে এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্য তার স্বামী ঘরের পিছনের বারান্দা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় এবং এখন অব্দি কনো খোজ খবর নেই মোবাইলে কল দিলেই নাম্বার বন্ধ বলে থাকে।
পরকিয়ার তার সুখের সংসার আজ ধ্বংসের প্রান্তে। বড় মেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে নবম শ্রেণিতে পড়ে তাকে স্কুলের বন্ধু বান্ধবিরা তার বাবাকে নিয়ে কথা বলে মেয়ে খুব কস্ট পায় সে স্কুলেও যেতে চায়না বলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্ত্রী।
এ বিষয়ে ছেলের বাবা জগৎ দেওয়ান জানায় তার ছেলে বর্তমানে কোথায় আছে অনেক প্রকারে খোঁজাখুঁজি করার পরেও যানা যাচ্ছে না, মোবাইলে কল দিলে বন্ধ বলে এবং আমি চাই আমার ছেলে ও সেই পরকিয়া মেয়েকে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং বিচারে যা করা হয় আমার কনো আপত্তি নেই।
বিষয় টি নিয়ে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানায় চন্দন দেওয়ান এবং উর্বি মার্মা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চন্দনের স্ত্রী আমাদের অভিযোগ করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে আমরা তাদেরকে অনেক প্রক্রিয়ায় অনেকবার বিচারের আওতায় আনার জন্য বলা হলেও তারা বিচারে উপস্থিত হয়নি, চন্দন ও উর্বি মারর্মা বিবাহ করেছে কিনা তা সম্পর্কেও আমরা অবগত হতে পারছিনা, তাদের যোগাযোগ করেও পাওয়া যাচ্ছেনা।পরে ৩ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা পরিষদের বিচারের আওতায় তাদের উভয় পরিবারের কে পালিয়ে যাওয়া মেয়ে এবং ছেলেকে উপস্তিত করতে বলা হয়,এবং সামাজিক বিচারে তাদের এই সম্পর্ক অবৈধ বলে গণ্য করা হয়।