দীঘিনালা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ- মহাষ্টমীতে দেবীর আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাম্বলীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু হবে আগামী শনিবার ১ অক্টবর। এরই মধ্যে প্রতিটি পূজামন্ডপের প্রতিমার গায়ে তুলির আচঁরে দেবী দুর্গাকে মূর্ত করা হয়েছে। ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি আর কাঙ্খীত আরতিতে মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায় এসব পূজামন্ডপ গুলো। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পূন্ন করতে মন্ডপগুলোতে নেওয়া হয়েছে নিরপত্তা জোরদার ব্যাবস্থা। প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে দেওয়া হয়েছে সিসিটিভি।
মায়ের আগমনে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষেরা। জগত জননী মাকে বরণ করে নিতে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার ১০ টি পূজা মন্ডপ সুন্দর-রূপে সাজানো হয়েছে প্রতিমার মধ্য দিয়ে। মায়ের আর্শীবাদে দূর হবে সকল অন্ধকার, বিশৃঙ্খলা আর ধরধামে বইবে শান্তির সুবাতাস-এমটাই প্রত্যাশা ভক্তদের।
উপজেলার ১০টি জায়গায় পূজা শুরু হবে আগামী শনিবার হতে, এসব পূজা মন্ডপ গুলো হলো শ্রী শ্রী সনাতন শিব মন্দির, শ্রী শ্রী নারায়ন মন্দির, রাধামাধম সেবা মন্দির, রশিকনগর শ্রী শ্রী হরি মন্দির, দূর্গা মন্দির, শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির, ভৈরফা নোয়াপাড় মোহন বাশিঁ মন্দির, শ্রী শ্রী বিষ্ণু মন্দির।
শ্রী শ্রী নারায়ন মন্দিরের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ দে, জানান দূর্গাপূজার প্রতিমার গায়ে রং-তুলির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী শনিবার হতে মহাষ্টমীতে দেবীর আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাম্বলীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু হবে।
দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসনের নিবার্হী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, উপজেলার ১০ টি পূজা মন্ডপে এ বছর দূর্গাপূজা অনুষ্টিত হবে। প্রশাসনের পক্ষ হতে নেওয়া হয়েছে পূজার জন্য জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ৮টি পূজামন্ডপকে আনা হয়েছে সিসিটিভির আওতায়। তিনি আরো জানান, উপজেলা শারদীয় দুর্গোৎসবে সর্ব্বোক্ষনিক মনিটরিং এর জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও্র প্রতিটি পূজা মন্ডপে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি পূজার নিরাপত্তার জন্য হটলাইনের জন্য “কন্টোল রুম” খোলা হয়েছে।