নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ- খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সুধীর মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল আলম সুজন (৩০) নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে দীঘিনালা থানায় ডাইরি করেছে নিখোঁজ সুজনের খালা মোছাঃ রহিমা বেগম। নিখোঁজ আশরাফুল আলম সুজন (৩০)।
দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী ইউপির মৃত মোঃ আফছার উদ্দিনের বড় ছেলে।
গত ১৩ আগষ্ট সকালে দীঘিনালা থেকে খাগড়াছড়ি সদরে উন্মুক্ত ডিগ্রী কলেজে যাওয়ার কথা বলে যায় খালার কাছে। সেদিনই সকাল ১১ টায় তার মুঠোফুনে কল করা হলে তার মুঠোফন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অনেক খোঁজার পরও তাকে আর পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের ৭ দিন পেরিয়ে গেলে ২০ আগষ্ট নিখোঁজ হয়েছে মর্মে
থানায় জিডি করা হয়।
এ বিষয়ে নিখোঁজের খালা মোছাঃ রহিমা বেগম থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বোন মোছা সুরাই বেগম, গত ২৭ বছর ধরে মানসিক রোগী। তার বাবা মৃত, আমার দুই ভাগিনা আশরাফুল আলম সুজন (৩০) ও মোঃ আশরাফ আহমেদ(প্রিন্স) আমাদের সাথে থাকে। গত ১৩ জুন দুইভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে জগড়া হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে নিজেরা সমাধান করার চেষ্টায় করা হয়েছিলো। পরে ছোট ভাই মোঃ আশরাফ আহমেদ(প্রিন্স) বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছে।
এদিকে নিখোঁজ আশরাফুল আলম সুজন (৩০) খালা মোছাঃ রহিমা বেগম থানায় জিডিতে উল্লেখ করেন, সে অবিবাহিত, প্রেম সংক্রান্ত কিছু কিনা জানা নেই। সেপার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাবার পরেই একই দিনে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। তাহার গায়ের রং ফর্সা, পরনে নেভি-ব্লু ফুল হাতা শার্ট, দেহের আকৃতি ৫ফুট ৬ ইঞ্চি।
দীঘিনালা থানার ডিউটি অফিসার ( উপ-পরিদর্শক) মাসুম ফরহাদ জানান, দীঘিনালা থানায় আশরাফুল আলম সুজন (২৬) নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে মর্মে ৭ দিন পর ডাইরি করেছে নিখোঁজের খালা।